মোটরসাইকেলের জ্বালানী সাশ্রয়ের ১০টি কৌশল

04
Oct
আপনি যে রাস্তায় বাইক চালান এবং আপনার বাইকের অবস্থা এ দুটি বিষয়ের আপনার জ্বালানী ব্যবহারের পরিমাণের উপর প্রভাব রয়েছে। এখানে জ্বালানী সাশ্রয় এর ১০ টি উপায় রয়েছে যেগুলো আপনাকে জ্বালানী এবং অর্থ দুটোই বাঁচাতে সাহায্য করবে । এটা আপনাকে পৃথিবীকে বাঁচাতেও সাহায্য করবে এবং অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে পরিবেশকেও সাহায্য করবে । বাইক চালানো একটি সখ যা মানুষ লালন করে আসছে তখন থেকে যখন থেকে প্যাডেলযুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে । পরিবেশ পরিস্কার রাখা এবং একটি জ্বালানী সাশ্রয়ী ও ভালো বাইকের জন্য নিম্নের ধাপগুলো অনুসরন করুন ।
প্রতিদিন সকালে বাইক নিয়ে বের হওয়ার আগে বাইক স্টার্ট দিয়ে ২-১ মিনিট রাখুন। তারপর বাইক নিয়ে আপনার গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করুন। বাইক নিয়ে বের হওয়ার পর প্রথম কিছু সময় বাইকটা আস্তে চালান , বাইকে প্রেশার কম দিন। আপনি যদি এইভাবে বাইক চালান প্রতিদিন তাহলে আপনি আপনার বাইক থেকে বেশ ভালো মাইলেজ পাবেন।
বাইক চালানোর একটা সঠিক নিয়ম আছে , আপনি আপনার বাইক সঠিক গিয়ারে চালানোর চেষ্টা করুন। অনেকে আছেন যারা প্রথম গিয়ারে বাইকের উপরে অকারণে প্রেশার দেন। কিন্তু এই কাজটি না করা ভালো। রাস্তা বুঝে যখন যে গিয়ারে বাইক চালানো প্রয়োজন সেই গিয়ারে বাইক চালান।
রাস্তায় নামলে ইদানীং এমন অনেক রাইডার দেখা যায় যারা হুট করে বাইক টান দেয় আবার হুট করেই ব্রেক করে রাস্তা ফাঁকা থাকলে। কিন্তু এভাবে বাইক না চালিয়ে চেষ্টা করুন একভাবে বাইক চালাতে। আপনি যদি আইডল ভাবে বাইক চালান আপনি বাইক থেকে ভালো মাইলেজ পাবেন।
ইঞ্জিনের বেশী ঘূর্ণন মানেই বেশী পেট্রলের ব্যবহার । আপনার সামনের গাড়ির চেয়ে নিরাপদ দূরত্বে চালান এতে আপনি যানজটের সাথে তালমিলিয়ে চলতে পারবেন । এটা অপ্রয়োজনীয় গতি বৃদ্ধি এবং যত্রতত্র ব্রেক করা কমাবে যেটা জ্বালানীর অপচয় কমাবে । এটা আপনাকে নিরাপদও রাখবে ।